Posts

হই যদি বন্য

মাঝে মাঝে হই যদি আমি খুব বন্য, মনে রেখো, সব “তোর,” “তোমাদের” জন্য। মাঝে মাঝে আমি যদি হই খুব খেয়ালী, মেচিউর নই আমি? ভেবো নাকো হেয়ালী। মাঝে মাঝে হেরে যাই হেরে গিয়ে জিতে যাই। নয় এ যে হেয়ালী, এ যে ছিলো খেয়াল ই। 14-03-2017

জীবনটা কী?

আমি যখন একলা থাকি কান্না হাসি সবই রাখি। কখনো বা আপন মনে ভাবতে থাকি জীবনটা কী? আমি যখন একলা ভীষণ ভাঙে তখন এই দেহ-মন। সেই সে আমি হেসে হেসে ভাবছি তখন জীবনটা কী? আমি যখন ব্যস্ত থাকি অচিনপুরের রঙিন পাখি হয়ে হয়েই ভাবতে থাকি ভাবতে থাকি জীবনটা কি? আমি যখন স্বপ্নে বিভোর রাত গড়িয়ে সকাল দুপুর তখন আমি হিসাব মিলাই ভাবছি তখন জীবনটা কি?   গভীর রাত, কুয়াশাচ্ছন্ন জীবন। তারার দেখা নাই। চাঁদের আলো নেই। হতাশা আর ব্যর্থতা দলা পাকিয়ে গলায় আঁটকে থাকে। বুকের পাথর বড় হয় দিনদিন! দূরের মিটিমিটি আলো কেমন ফ্যাকাশে হয় ধীরে ধীরে। তারপর মিলিয়ে যায় শুকনো ঝড়নার মত। কখনো বা ধপ করে জ্বলে উঠে আবার নিভে যাওয়ার জন্য। অনন্ত প্রতিক্ষায় মূর্তিমান হই আমি। হাজার হাজার বছরের কোটি কোটি মানুষের কোটি কোটি স্বপ্ন, শ্রম, মেধা, আবিষ্কার, উন্নতি, অর্থ, নারি আর আদিম লালসা। সব, সবই মিলিয়ে যায়। মিলিয়ে যায় সকল জীবও। বেঁচে থাকে কেবল পূণ্য। সময় হয়েছে হিসাব মিলাবার, পারছি না কেন? আসলে জীবনটা কী? কি?

বাঁশি

আমি বই মেলায় যেতে চাই। বই কিনতে নয়। একটা বাঁশি কিনতে। গতবারের বাঁশিটা ভেঙে গেছে। জানো? হাতে ঠিকমত বসতো না। আর বাঁশির তুলনায় আঙুলগুলো আমার খুবই ছোট, বড্ড বেমানান। একবার আমি হারিয়েছিলাম, বাঁশির সুরে। গভীর রাতে, পরি আর ডাইনির ভয় উপেক্ষা করে, হারিয়েছিলাম কোনো তেপান্তরে। ইথারে ভেসে বেড়ানো সেই সুর, ছড়িয়েছিলো অনেক দূর। গ্রাম্যসরলতা নিয়ে থাকে যেই ছেলেটা, তার মনেও যে অবচেতনে লুকিয়ে থাকে হাজারো নীল। কেউ জানে না। জানার প্রয়োজনবোধ করে না। শতশত রাতের সাক্ষী বাঁশি। একাকীত্বের সাথি হয়েছিলাম একদিন। বীজগনিত অনুযায়ী, বিয়োগে বিয়োগে যোগ হয়, আমরা যোগ হয়েছিলাম। বাঁশিটা তাকে দিয়েছিলাম। পছন্দ হয়েছিলো নাকি তার। আমি ভেবেছিলাম কিনে নেবো আরেকটা। কিন্তু কিনতে পারিনি। পারিনি আজো। চন্দ্রনা, পারবো কিনা তাও জানি না। 18-02-2016

ভালোবাসি

ভালোবাসি ফুল তাজা ফলমূল, পাখিদের গান কুহু কুহু তান, আকাশের নীল ডানামেলা চিল। ভালোবাসি নদী বয়ে চলে যদি, পাল তোলা নাও সবুজের গাঁও, চাঁদ তারা রবি মনে আঁকা ছবি। ভালোবাসি হাসি রাখালের বাঁশি, ভাটিয়ালি গান সবুজের বান, কুয়াশার ভোর দাও খুলে দোর। আমার মনে যে এত ভালোবাসা ছিলো, সেইটা দেখে আমার কেমন কেমন লাগে। আহা.. আগে কত স্বচ্ছ আর টেনশনমুক্ত জিবন কাটাইতাম...। আজকাল ভালোবাসা কি জিনিষ সেটা মনে হয় ভুলে গেছি... তাই অনেক অনেক আগের লেখা ছড়াগুলো পড়ি। পড়তে পড়তে আবেগাপ্লুত হয়ে যাই.. আহা..। আপনারাও পড়েন। ভাল্লাগবে... 2010 এর লেখা। দিনক্ষণ মনে নাই।

ছড়াতুক - 03

দুই বন্ধু বাইকে যাচ্ছে-- ১ম বন্ধু- এত্তো জোরে চালাসনে ভাই লাহছে ভিষণ ভয়। ২য় বন্ধু- আমার মতোই চোখ বুজে থাক ভয়ের কিছুই নয়। 03-12-2013

নদী

চৈত্রের কাঠফাটা দুপুরে এলোমেলো উদাসীর নুপুরে জমে থাকা চাপা চাপা কষ্ট টের পাই, বুঝি সব পষ্ট। মিটিমিটি হেসে যাই হেসে হেসে পুড়ে ছাই। খুঁজে খুঁজে পেতে চাই উদাসীর মিষ্টি সে হাসি। ঘুমে ঘোর একাকার ভেবে ভেবে কথা তার হাসিমুখে বেদনার বাজে সেই রাখালের বাঁশি। হেরে গিয়ে নাই হই যদি বুঝে নিও, ছিলো এক নদী সেই নদী আর নাই, নাই তাতে পানি কোনদিন সেই নদী, ভরে যাবে জানি। 3.15-3.35পিএম 25-03-2015ইং